বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: আজ ১১ জুলাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় ও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর : প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন।’
জনসংখ্যা উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। এ জনসংখ্যাকে কাম্য জনসংখ্যায় পরিণত করতে পরিকল্পিত পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘পরিকল্পিত জনসংখ্যা, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিদ্যমান কর্মসূচিগুলোতে উদ্ভাবনীমূলক কর্মকাণ্ডের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের ক্ষমতায়ন হবে এবং ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছে যাবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে জনমিতিক লভ্যাংশের ‘ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ট’ সুযোগ বিদ্যমান। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। সঠিক উন্নয়ন কৌশল, কর্ম-পরিকল্পনার মাধ্যমে এ বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারলে জনমিতিক এই সুযোগ আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’
আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯৪ সালে বিশ্বের নিম্ন অগ্রগতিসম্পন্ন দেশগুলোতে মোট প্রজনন হার ছিল ৬, এখন তা ৪। আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট প্রজনন হার ২.০৫ এবং পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৬২.৪। একটি দেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত।’